আলমগীর মাসুদ :
মুহূর্তগত কাজ কীভাবে কখন শুরু করতে হয় আমরা খুব কমসংখ্যক মানুষ জানি। কমজানি কারণ জানা’র শুদ্ধ পাঠ আমরা কখনোই করি না। অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুধাবন করাওয়ালা দেশ-কাল গণ্ডির সীমানা পেরুনো যে মহাপুরুষগুলোর কথা বলতে পারি সমাজসেবক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সমাজ সংস্কারক, বিপ্লবী নেতা ইত্যাদি। এঁরা আগাগোড়াই ছিলেন সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করা একেকজন সচেতন নাগরিক। এঁরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নিজেদের থিতু করলেও দিনশেষে এঁরাই একত্র হতেন ক্যালেন্ডারের পাতায়। অর্থাৎ মানবসেবা, সামাজসেবা আর রাষ্ট্রের উপকারে আসাটাকে এঁরা গুরুত্ব দিতেন বেশি। বর্তমানে চামচা, দালাল, ঘুষখোর আর ধর্ষণের এই পৃথিবীতে এঁদের মতো হতে কেউ কি চেষ্টা করেন? হয়তো করেন। আর করেন বলেই আসাদুজ্জামান দারা— হ্যাঁ, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দারা’সহ ভালোর কাতারে দু’একজনের নাম আমাদের শহরে আমরা দেখতে পাই। আমরা একজন আসাদুজ্জামান দারাকে দেখেছি। একজন আসাদুজ্জামান দারা’র সংস্পর্শ পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। একজন আসাদুজ্জামান দারাকে ‘ভাইয়া’ বলে ডাকার সুযোগ পেয়েছি। হ্যাঁ, তাঁর কাছ থেকেই শিখতে পেরেছি মুহূর্তগত কাজ কখন কীভাবে শুরু করতে হয়। শুধু মহামারী নয়, শোষণ-পীড়নের যাঁতাকলে মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তখনি আসাদুজ্জামান দারা’রা এসব মানুষদের পাশে এগিয়ে আসেন। সাথে আমাদেরকেও আসার উৎসাহ দেন।
আমরা এও বলতে পারি, বর্তমান পৃথিবীর বুকে জিইয়ে থাকা মানুষের মধ্যে স্পষ্টবাদী শব্দটা খুবই দুর্বল! কারণ বর্তমান সময়ে মানুষগুলো স্পষ্ট কথা বলতে পারে না। সাচ্চা শব্দের অর্থ জানেনা! হা, লেজুড়বৃত্তি করা এখনকার পৃথিবীর ধর্ম বলে একজন দুজন আসাদুজ্জামান দারা বাদে সমাজে আর বেশি আসাদুজ্জামান দারাদের আমরা দেখিনা! দেখিনা বলেই জোর দিয়ে বলতে পারি, ২০১৯-২০ বিশ্ব করোনাভাইরাসের শুরু থেকে আমরা একজন আসাদুজ্জামান দারাকে অন্যভাবে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের অন্য শহরগুলোর কথা বাদই দিলাম। ফেনী জেলার মধ্যেই এমন পুরুষ মহিলা ছিলেন, যারা দিতে পারতেন হাজার হাজার মানুষের জন্য কিছু খাবার। তারা ভূমিকা রাখতে পারতেন, শত শত রোগীর চিকিৎসা সেবায়। তারা সহজেই দাঁড়াতে পারতেন অনাথ, ক্ষুধার্ত আর বেকারদের পাশে। অথচ খুব সত্য হাতেগোনা কয়েকজন বাদে আমরা এই মহামারী পরিস্থিতিতে তেমন মহত মানুষদের দেখিনি!
ঠিক এখানেই আসাদুজ্জামান দারা’রা ব্যতিক্রম। দারা ভাইয়ারা কখনো ধনী-গরিবের ব্যবধানের হিসাব কষে না। তাই বলতে হচ্ছে, আসাদুজ্জামান দারারাও যদি ওদের মতো নিজেদের আড়াল করে রাখতেন কোনো সমস্যা হতো না। সাধারণ মানুষগুলোর দিন ঠিক কেটে যেতো নীরবে। কারণ সাধারণ মানুষরা ক্ষুধার কষ্ট জন্ম থেকেই সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। তবে হা, এই আসাদুজ্জামান দারা ভাইয়ারা আছেন বলে সাধারণ মানুষগুলো অকালে মরে না। তারা আগামীর সুন্দর একটি সতেজ সকাল দেখার অনুপ্রেরণা পায়। আর সাধারণ মানুষরা সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকলে—সমাজগুলো ফুলবাগানের মতো সুন্দর দেখায়। এটাও সত্য, সমাজ সুন্দর হওয়া মানেই রাষ্ট্র উন্নত হওয়া। হা, একজন আসাদুজ্জামান দারা আমাদের আদর্শের জায়গায় থাকুক। একজন আসাদুজ্জামান দারা আমাদের ছোট্টশহরের মানচিত্রে জিইয়ে থাকুক।
◾
#লেখক : সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।
২২ জুন ২০২০
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, গেপ্তার ৩
- » ফেনী বন্ধুসভার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- » ইঞ্জিনিয়ার এম. সাখাওয়াত খাঁন’র উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
- » ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ইফতার ও কমিটি পূণঃগঠন
- » চিপসের টাকা না দেওয়ায় চুরিকাঘাতে যুবক খুন
- » ফেনীতে ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি
- » মনোয়ার হোসেন সেন্টুর সহযোগিতায় আরডিএস এর ইফতার
- » ফেনীতে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- » ফেনীতে মন্দিরভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের তিন দিনের কর্মশালা উদ্বোধন
- » ফেনীতে আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি নাম সম্বলিত ইসলামিক ভাস্কর্যের উদ্বোধন