ডেস্ক রিপোর্ট :
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন চীনা বিশেষজ্ঞ দল
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি, কবে পৌঁছবে তাও বলা কঠিন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবশ্যই পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লকডাউন করত হবে। এদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার খুবই অভাব। এটা দেখে চীনা চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল ভীষণ হতাশ। তারা বলছে, রোববার (২১ জুন) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় চীনের বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষে কথা বলেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং। অংশ নেন বিশেষজ্ঞ দলের ডা. শুমিং শিয়ানউ ও ডা. লিউহাইট্যাং।
তারা বলছেন, এদেশে চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকর্মীর সংখ্যাও খুবই কম। তবু স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে তারা অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ দল। করোনা পরিস্থিতির স্থায়িত্বকাল নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে (পিক টাইম) পৌঁছেনি, কবে পৌঁছাবে তা-ও বলা কঠিন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবশ্যই পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লকডাউন করতে হবে। এই পরিস্থিতি আরও ২-৩ বছর চলবে কি-না সেটা বলার মতো বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশেষজ্ঞদের জানা নেই। ইয়ান হুয়ালং বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন এই বিশেষজ্ঞরা। তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন।
করোনা শনাক্তে র্যাপিড ডট কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা সমর্থন করেন না চীনা বিশেষজ্ঞরা। করোনা আক্রান্ত শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ জানিয়ে বিশেষজ্ঞ দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনো বাংলাদেশে করোনা টেস্টের পরিমাণ খুবই কম। দেশের সব বিভাগে ল্যাবরেটরিও নেই। সেজন্য অনেককে তাদের টেস্টের জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠাতে হয়। বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দ্রুত পরীক্ষা, দ্রুত শনাক্তকরণ, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্দেহজনক কেস থেকে সর্বস্তরে টেস্ট নিশ্চিত করতে হবে। তিনটি উপায়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আক্রান্তদের চিকিৎসা, এই ভাইরাসের ট্রান্সমিশন (একজন থেকে আরেকজনে ছড়ানো) বন্ধ করা এবং যারা আক্রান্ত হননি তাদের রক্ষা করা।এই পরিস্থিতি আরও ২/৩ বছর চলবে কি না সেটা বলার মত বৈজ্ঞানিক তথ্য তাদের জানা নেই। করোনা শনাক্তে রেপিড ডট কিটের পরীক্ষা সমর্থন করেন না চীনা বিশেষজ্ঞরা। দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এই সপ্তাহেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে পরামর্শ আকারে বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট হস্তান্তর করা হবে।করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি গত ৮ জুন ঢাকায় আসে।
ডা. লি ওয়েনশিউর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে চিকিৎসক, নার্সসহ সংক্রামক ব্যাধি নিরোধ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।সফর শেষ করে সোমবার (২২ জুন) দেশে ফিরে যাবে বিশেষজ্ঞ দলটি। তবে যাওয়ার আগে দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা এবং এ সংক্রান্ত পরামর্শ এক করে রিপোর্ট আকারে স্বাস্থ্য অধিদফতরে দেবে তারা। বিশেষজ্ঞরা চলে গেলেও বাংলাদেশের জন্য চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » কুমিল্লায় সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে নিজাম হাজারী এমপিসহ ফেনীর জনপ্রতিনিধিদের মিলনমেলা
- » নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
- » আসক্তির নতুন নাম ‘গ্লু স্নিফিং’
- » মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসনে নিয়োগ পেলেন ফেনীর গর্ব কাজী সাবিল সহ চার বাংলাদেশী
- » কাদের মির্জাকে অভিনন্দন জানালেন ওবায়দুল কাদের
- » পড়ার কোনো বিকল্প নেই : শফিক হাসান
- » বই উৎসবে শেষ হচ্ছে বছর
- » গগন ডাক্তার চিরঞ্জীব সমাজকর্মী
- » ফেনীর উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে
- » সাংবাদিক রাসেলকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি