বিশেষ প্রতিনিধি :
ফেনীর এক ব্যক্তির মৃত্যুর ১০ দিন পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার এবং এ রোগের উপসর্গ নিয়ে জেলায় আরও তিনজনের খবর পাওয়া যায়।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ জানান, শেখ আহম্মদ নামের ওই ব্যক্তি ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান।
এদিকে ফেনীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।
৩০ জুন জেলার ১১টি করোনাভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে শেখ আহম্মদের নাম রয়েছে জানিয়ে উৎপল বলেন, “সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য ২১ জুন নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকালে সেগুলোর রিপোর্ট আসে। জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শেখ আহম্মদের মৃত্যু হয়।”
তার গ্রামের বাড়ি সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরলক্ষীগঞ্জ দশআনি গ্রামে বলে জানান এ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
আহম্মদের ছেলে মোশারফ হোসেন বলেন, “আমার বাবা ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২০ জুন রাতে করোনাভাইরাস আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয়।”
করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওইদিন রাতেই তার নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পরদিন দুপুরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানান তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৯ জন সোনাগাজীর, ৩ জন দাগনভূঞার, ৩ জন ফেনী সদর ও ২ জন ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া আবুল হোসেন (৫৫) মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান।
এর আগে রাত ৯টার দিকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা।
“একই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন হারিসা খাতুন (৬৫) বিকেলে মারা যান। তিনি ফেনী সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।”
এছাড়া এ দিন দুপুরে নুরুল হুদা (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড় গ্রামের বাসিন্দা; সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাদের কারোরই পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে উপসর্গ থাকায় মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসক ইকবাল জানান।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ আনন্দ আড্ডায় মিলন মেলা
- » দেশের অন্যতম ব্র্যান্ড সেইলরের আউটলেট ফেনী শাখার র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত
- » আবদুল কাইয়ুম ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- » ফেনী সাহিত্য সভার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- » পাঁচগাছিয়ায় প্যানেল চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- » মাসব্যাপি ইফতার বিতরন শেষে ফেনীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে “রক্তের সন্ধান”র ইফতার মাহফিল
- » ফেনীতে গুম-খুনের শিকার যুবদলের নেতাদের পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ উপহার প্রদান
- » যুবদল নেতা নাসির খন্দকারের আয়োজনে বন্ধু স্বজন পরিষদের ইফতার ও দোয়া
- » ফেনীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের এতিমদের কাছে ইফতার পৌঁছালো রয়েল নোয়াখালী ৯৮
- » ফেনীর যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩০ নেতাকর্মীর আাগাম জামিন