পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পড়তে হবে অনেক। সব ধরনের লেখা, সব লেখকের বই।
লেখক, সাহিত্যিক শফিক হাসান। মুখোমুখি হয়েছিলেন দৈনিক অজেয় বাংলার। কথা বলেছেন লেখালেখির বিভিন্ন বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুরুল আমিন হৃদয়।
অজেয় বাংলা: আপনার প্রথম লেখা কোন পত্রিকায় এবং কত সালে ছাপা হয়? পাঠকদের উদ্দেশে যদি বলেন।
শফিক হাসান : যত দূর মনে পড়ে, প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় রহস্যপত্রিকায়। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে (আগ-পিছও হতে পারে)। আলোচনা বিভাগে ছোট একটি লেখা। তখন সেবা প্রকাশনীর বই ও পত্রিকায় পাঠকের প্রশ্নের জবাব দিতেন লেখক ও প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন। দ্বিতীয় লেখা প্রকাশিত হয় ২০০০ সালের জুলাইয়ে। যুগান্তরের ফান ম্যাগাজিনের বিচ্ছুতে। এরপর আমি আর থামিনি। লিখেই চলেছি। যদিও লেখক হওয়ার পথ এখনো অনেক দূরে।
অজেয় বাংলা : লেখার সময় পাঠকের কোন চাহিদার দিকটা বিবেচনায় রাখেন?
শফিক হাসান : লেখার সময় কখনই মাথায় পাঠক থাকে না। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে শ্রেষ্ঠ লেখাটা লিখতে চাই। লেখার পরে আরও দুই-একবার পড়ি। তারপর পাঠাই ছাপার জন্য, কোনো কাগজে। ছাপার পরই পাঠকের প্রসঙ্গ আসে। তাদের মধ্যে হয়ত ভালো বা খারাপ প্রতিক্রিয়া হয়। যদিও সেটার কমই আমার জানা হয়। সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ তেমন নেই।
অজেয় বাংলা : আপনার প্রিয় লেখক কে?
শফিক হাসান : অনেকেই। সবার নাম এ মুহূর্তে বলতে পারব না। মনে আসবে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী আনোয়ার হোসেন, হুমায়ূন আহমেদ প্রমুখ। বর্তমানে তরুণদের মধ্যে আহমাদ মোস্তফা কামাল, পাপড়ি রহমান, সুমন্ত আসলাম, মাইনুল এইচ সিরাজী, স্বকৃত নোমান, ইমন চৌধুরী, আহমেদ খান হীরক… এঁদের লেখা ভালো লাগে।
অজেয় বাংলা : বইমেলায় আপনার লেখা প্রথম বই কত সালে প্রকাশিত হয়। বইয়ের নাম কী?
শফিক হাসান : প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। দুটি বই একত্রে। সেক্ষেত্রে প্রথম বইয়ের অনুভুতি ‘একক’ভাবে টের পাইনি! ছোটগল্প গ্রন্থ : প্রতিদিন একটি খুন, রম্যগল্প গ্রন্থ : সবার উপরে ছাগল সত্য।
অজেয় বাংলা : প্রথম বইয়ের প্রকাশের পর আনন্দ কেমন ছিল বলুন।
শফিক হাসান : প্রথম বই প্রকাশ যে কারও জন্যই আনন্দের। কিন্তু সেটা আমার জন্য বেদনায় পরিণত হতে সময় লাগেনি। অনেক বগিজগির পর বইটা (প্রতিদিন একটি খুন) মেলায় এসেছিল। পরদিন (সম্ভবত ২৩ ফেব্রæয়ারি) বইমেলায় আগুন লাগে। স্টলে থাকা আমার সব বই পুড়ে যায়। প্রকাশকের স্টল ছিল না। পরিবেশক ছিল গদ্যপদ্য।
অজেয় বাংলা : আগামী বইমেলায় আপনার কী কী বই প্রকাশিত হবে? এবং কোন প্রকাশনী থেকে?
শফিক হাসান : আগ বাড়িয়ে বলা মুশকিল। যেহেতু প্রত্যাশা, পরিকল্পনা ও বাস্তবতা সব সময় একই সমান্তরালে থাকে না। তবুও ঝুঁকি নিয়েই বলি। দুটি বই আসতে পারে। রম্যগল্প গ্রন্থ : ঘরজামাই পর-জামাই, মুক্তদেশ প্রকাশন; ছোটগল্প গ্রন্থ : খোলস, অনুপ্রাণন প্রকাশন।
অজেয় বাংলা : আপনার সেরা লেখা কোনটি?
শফিক হাসান : লেখা হচ্ছে লেখকের কাছে সন্তানের মতো। তাই সেরা লেখা বলা মুশকিল। একেক পাঠকের কাছে একেক লেখা ভালো লাগে। তবে বইয়ের কথা বললে ‘সবার উপরে ছাগল সত্য’ রম্যগল্প গ্রন্থটির প্রতি একধরনের দুর্বলতা আছে।
অজেয় বাংলা : বর্তমান তরুণ প্রজন্মের লেখকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
শফিক হাসান : পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পড়তে হবে অনেক। সব ধরনের লেখা, সব লেখকের বই। পড়ার তুলনায় লিখতে হবে কম। কম পড়ে বেশি লেখা আদতে অপরাধতুল্য!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ফেনী বন্ধুসভার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- » চিপসের টাকা না দেওয়ায় চুরিকাঘাতে যুবক খুন
- » ফেনী সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র ইফতার মাহফিলে বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা
- » ফেনীতে বন্ধুর বন্ধনের ইফতারে দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া
- » ফেনীতে ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি
- » ফেনীতে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- » ফেনীতে আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি নাম সম্বলিত ইসলামিক ভাস্কর্যের উদ্বোধন
- » ফেনীতে দেশের অন্যতম ব্র্যান্ড সেইলরের আউটলেট উদ্বোধন
- » ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কর্মচারীর মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরন
- » বিশিষ্টজনদের নিয়ে প্রবাসী জিয়া উদ্দিন বাবলুর ইফতার মাহফিলে