ফেনীর পরশুরামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বান করায় সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকায় আইনশৃংখলা, শান্তিরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সোমবার রাতে পরশরাম পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শামসাদ বেগম স্বাক্ষরিত ১৪৪ ধারা জারি সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।

নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফেনীর পরশুরাম উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পরশুরাম বিএনপির অফিস সংলগ্ন ষ্টেশান রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষনা করা হয়।

অপরদিকে একই দিনে ও একই সময়ে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময় পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরশুরাম বাজার ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান এবং বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষনা করে।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনাসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীসহ যে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ করা ও আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পরশুরাম উপজেলা এলাকায় ২৩ আগষ্ট ভোর ৬টা থেকে বিকেল সন্ধ্যা পর্যন্ত, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা মতে আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলায় দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করেন। কিন্তু গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই আওয়ামী লীগ ও তাদের অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কর্মসূচীকে পন্ড করার জন্য পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে মাইকে প্রচারণা শুরু করেছে। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইন-শৃংখলা ও শান্তি রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যাতে বিএনপি সমাবেশ করতে না পারে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একই দিনে একই সময় বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান কারার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভোর থেকে কেউ যেন কোন ধরনের সমাবেশ বিক্ষোভ বা আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটাতে পারে সে জন্য পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।