স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে লরিচাপায় একই পরিবারের বাবা-ছেলেসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত পাঁচ প্রবাসীরই বাড়ি ফেনী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের শরিয়ত উল্যাহর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫), দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের মিলনের নতুন বাড়ির আবদুল মান্নান মিলনের ছেলে দীন মোহাম্মদ রাজু (৩৩), একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর তমিজ উদ্দিন ভূঞা বাড়ির মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে মোস্তফা কামাল পোপেল (৩৫) এবং সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন (৪৫) ও নাজিম হোসেন (১০)। এদের মাঝে আবুল হোসেন ও নাজিম সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, দক্ষিন আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়ি ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে। সংশ্লিস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিহতদের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন বলেন, ‘এরা সবাই কেপটাউন যাচ্ছিলেন। পথে মালবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন বলেন, ‘খবর শুনে আমরা বিরলীতে ইসমাইলের বাড়িতে ছুটে যাই এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। ওই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।’ মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
নিহত ইসমাইল হোসেনের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার আবদিন থেকে কেপটাউনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ইসমাইলসহ সাত প্রবাসী। পথে একটি লরিচাপায় ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।’
ইসমাইল হোসেনের বাবা শরিয়ত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ইসমাইল অবিবাহিত। দুইমাস পর তার দেশে আসার কথা ছিল। বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। ১১ বছর ধরে সে সাউথ আফ্রিকায় থাকে। আমি ছেলেকে হারিয়েছি তবে লাশটি দ্রুত ফেরত চাই।’
নিহত মোস্তফা কামাল পোপেলের ভাই আইনজীবী মোস্তফা জামাল নওফেল বলেন, ২০১০ সালে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকা পাড়ি দেন মোস্তফা। তার দুই বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কেপটাউন শহর থেকে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সময় ২টার দিকে তিনি খবর পান।
নিহত ও আহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনের তথ্যমতে, প্রবাসী আনিসুল হক মিলনের দেশে ফেরত আসার কথা ছিল। তাকে কেপটাউন এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিলনও আহত হন।
দক্ষিন আফ্রিকার প্রবাসীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরআগে সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এত সংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়নি। এ ঘটনায় দেশটিতে বসবাস করা বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তার উপজেলার দুই প্রবাসী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী তার উপজেলায় একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ, গেপ্তার ৩
- » ফেনী বন্ধুসভার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- » ইঞ্জিনিয়ার এম. সাখাওয়াত খাঁন’র উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
- » ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ইফতার ও কমিটি পূণঃগঠন
- » চিপসের টাকা না দেওয়ায় চুরিকাঘাতে যুবক খুন
- » ফেনী সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র ইফতার মাহফিলে বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা
- » ফেনীতে বন্ধুর বন্ধনের ইফতারে দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া
- » ফেনীতে ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি
- » মনোয়ার হোসেন সেন্টুর সহযোগিতায় আরডিএস এর ইফতার
- » ফেনীতে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন