স্টাফ রিপোর্টার :
দাগনভূঞা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষক বদলিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষকরা। অভিযোগ রয়েছে- দাগনভূঞা আতাতুর্ক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শূণ্য পদে কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই একজন শিক্ষককে বদলি করা হয়। এ বদলিতে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের শিক্ষকদের অনেকে অভিযোগ করেন- সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষক বদলি শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে। এক্ষেত্রে কোনো বিদ্যালয়ের শূণ্য পদ ঘোষণার নোটিশ জারির পর ওই পদে বদলির আবেদনের জন্য ন্যুনতম সাত দিন সময় দিতে হয়। এরপর জমাকৃত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে পেশ করবেন। উপজেলা শিক্ষা কমিটি শূণ্য পদে বদলিকৃত শিক্ষকের নাম প্রস্তাব করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করবে।
শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন- দাগনভূঞা আতাতুর্ক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের শূণ্যপদে বদলিতে এ বিধিমালা মানা হয়নি। কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ৩ জানুয়ারির মধ্যেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শূণ্য পদে উৎকোচের বিনিময়ে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ওই শূণ্য পদে আবেদনের জন্য প্রকাশ্যে নোটিশ জারি না করায় ওই শূণ্য পদে বদলি প্রার্থী অন্য শিক্ষকেরা বিষয়টি জানতে পারেননি। গোপনে নোটিশ জারি করে একটি মাত্র আবেদন জমা নিয়ে ওই পদে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওই বদলির অফিস আদেশে ২ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে বিষয়টি উপস্থাপনের কথা বলা হয়। বিধি অনুযায়ী ২ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে শূণ্য পদে আবেদনের বিষয়টি কোনভাবেই উপস্থাপন হতে পারে না। শূণ্য পদে ১ জানুয়ারি আবেদন আহ্বান করা হলে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকার কথা। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে অতি গোপনে এ বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা এ বদলিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ করেন শিক্ষকেরা। তারা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের নিকট জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে দাগনভূঞা উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন
- » বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটির পরিচিতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা
- » উত্তর চন্ডিপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এম. আনোয়ারুল ইসলাম
- » বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রোডমার্চ ফেনী ছাড়লো- দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত









