বিশেষ প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় ফেনীকে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে জেলার ৬টি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৮টা থেকে জেলার উপকূলীয় অঞ্চল সোনাগাজীসহ জেলার অন্য উপজেলায়ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করছে। এর আগে সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হয়।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেব জানান, করোনা দূর্যোগের মধ্যে আরেকটা দূর্যোগ আম্পান আসায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলারি সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা প্রশাসন।
অজিত দেব জানান, উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন ৪টি। এরমধ্যে সোনাগাজী সদর, চরদরবেশ, চরচান্দিয়া ও আমিরাবাদ ইউনিয়নে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে এ চার ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় সোনাগাজীতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
উপজেলা সূত্র জানা যায়, সোনাগাজীতে ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনগণের আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ২৫ হতে ৩০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া যাবে। তবে করোনার কারণে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলারি সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেমানুষজন সরিয়ে আনতে হতে পারে। তবে তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপির টিম সকল ইউনিয়নে প্রস্তুত রয়েছে। ১১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। রাতে ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
চরখোন্দকার জেলে পাড়ার প্রিয়লাল চন্দ্র দাস বলেন, নদীর পাড়ে সংসার নিয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করি। এখন দেখছি সাগরে পানির উচ্চতা বাড়ছে। এতে ভয় হচ্ছে। এখন ৬ নম্বর বিপদ সংকেত টিভিতে দেখেছি। যদি সংকেত আরও বাড়ে তাহলে আশ্রয় কেন্দ্র চলে যাব।
আরেক বাসিন্দা নুর নবী বলেন, নদী এলাকার কাছাকাছি থাকায় একটু ভয় তো লাগছে। তবে কিছুই করার নেই। আমরা তো অসহায়। যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তখন বউ-বাচ্চা নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাব।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ফেনী জেলার ৬টি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, জেলার ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ হয়েছে, যা জরুরি প্রয়োজন ব্যবহার করা হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”