স্টাফ রিপোর্টার :
দাগনভূঁঞা উপজেলা সদরের সাথে ছয় ইউপির প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গ্রামীণ সড়কগুলো বেশিরভাগই খানা খন্দে ভরা, কোথাও কোথাও এমন পরিণত হয়েছে সড়কের উপরিভাগ অংশের পলেস্তর সরে ইট-সুরকি উঠে গিয়ে যান চলাচলের জো নেই। ওইসব সড়কে এ করুণদশার কারণে চলাচলকারী যাত্রীদের প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ওই সড়কে থেমে থেমে যান চলাচলের কারণে সময় নষ্ট হয় এবং যাত্রীদের দ্বিগুন ভাড়াও গুনতে হচ্ছে । ফলে জনভোগান্তি চরমে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই!
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর, রাজাপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, রামনগর, এয়াকুবপুর, দাগনভূঞা সদর, মাতুভূঞা ও জায়লস্কর ইউপিসহ আট ইউনিয়নবাসীর চার লক্ষাধিক অধিবাসীর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য সড়কগুলোর মধ্যে পাকা সড়ক হচ্ছে দুইশত ২৩ কিলোমিটার। এছাড়াও কাঁচা-ইটের সলিং সড়ক হচ্ছে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার। এসব সড়ক ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইমা, টেম্পু, রিক্সাসহ নানা যানবাহনে চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ পাকাকরণের পর দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় বেশিরভাগ পাকা সড়কেই খানা খন্দে সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সীমিত পরিসরে যানবাহন থেমে থেমে চললেও অনেক সময় দেখা যায় সড়ক চলাচলের মাঝপথে যানবাহন বিকল ও নষ্ট হয়ে পড়ে, এতে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গ্রামীণ পাকা সড়কগুলোর মধ্যে দাগনভূঞা থেকে বৈরাগীর হাট সড়ক, দরবেশের হাট থেকে রঘুনাথপুর, নুরের টেক থেকে চৌধুরীহাট, বেকের বাজার থেকে কুঠির হাট, উত্তর আলীপুর থেকে বাগের হাট, অলাতলী বাজার থেকে চন্দ্রপুর, মুন্সীবাড়ির দরজা থেকে বাদামতলী, মাতুভূঞা থেকে পোদ্দার পুকুর পাড়, বাদামতলী আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়কের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পূর্বচন্দ্রপুর বাসিন্দা নুরুল আফছার জানান, নিত্য প্রয়োজনে দাগনভূঞা বৈরাগীর হাট সড়কে উপজেলায় চলাচল করতে হয়। খানা খন্দের কারণে সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত সময়ক্ষেপন হয়। সড়কটি মেরামতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী বারবার দাবী জানালেও অদ্যাবধি সংস্কার হচ্ছে না।
রঘুনাথপুর দরবেশের হাট সড়কে চলাচলকারী যাত্রী কাজী হাবিবুল্যাহ সুমন জানান, সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে কষ্টের শেষ নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।
পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে রেকর্ড সংখ্যক উন্নয়ন হলেও আমার ইউপির অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে নাজুক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সিন্দুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর নবী জানান, বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় সিন্দুরপুরে কয়েকটি গ্রামীণ সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমান পরিষদে নির্বাচিত হওয়ার পর জরাজীর্ণ সড়কগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী উপজেলার বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, কয়েকটি সড়ক সংস্কারের বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন মহলের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করি সহসায় সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”