সংবাদদাতা:
নোয়াখালী জেলা আদালতের ২৪ বছর ধরে নাজির হিসেবে চাকরি করছেন আলমগীর হোসেন। দুদকের করা এক মামলার কারণে এখন সাময়িকভাবে বরখাস্ত তিনি। নাজির আলমগীর হোসেনের দাবি, স্বাক্ষরবিহীন এক নোটিশ দিয়ে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন জেলা দুদকের তিন কর্মকর্তা। ঘুষ দাবি করার কারণে মামলা করেন আলমগীর। যে মামলাতে দুদকের কর্মকর্তাদের ঘুষ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। নাজিরের দাবী মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুদকের ওই কর্মকর্তারা উল্টা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা ও গ্রেপ্তার এ মানা হয়নি আইনি কোন বিধান।
আলমগীর হোসেন বলেন, দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম, এডি মশিউর রহমান, এডি সোহেল আহমেদ তাদের স্টাফ মেজবাহ এবং সারোয়ারের মাধ্যমে একটি স্বাক্ষরবিহীন চিঠি দিয়ে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাদেরকে ঘুষ না দিয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় তাদের নাম থাকায় তারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে ২১ ধারা বিধান ৯/ক(২) এই দুইটি ধারার বিধান লংঘন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তিনি আরো বলেন, অভিযোগ তদন্তের বিষয়েও ডিপার্টমেন্ট থেকে কোন অনুমতি নেয়নি, মামলা দায়েরের বিষয়েও ডিপার্টমেন্ট থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। ২১ ধারা লংঘন করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেটাও বেআইনিভাবে করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আলমগীরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিভূত সাত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ মিলেছে। তিনি ঢাকায় আসলে সোনারগাঁও এর মত পাঁচ তারকা হোটেলে থাকতেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করতো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের চার্জশীটে। অথচ পিবিআই এক অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আলমগীর অবস্থান করেছেন এমন কোন তথ্য মেলেনি। এপেক্স ক্লাবের সদস্য হওয়ায় ক্লাবের নিজস্ব তহবিলে আলমগীর অস্ট্রেলিয়া আমন্ত্রণে দেশটিতে গিয়েছিলেন। এমনকি শুধু সাক্ষী হওয়ায় অন্যের সম্পত্তির পাওয়ার অফ এটর্নি দলিলে প্রায় ছয় কোটি টাকা আলমগীরের নামে দেখানো হয়েছে বলেও পিবিআইর তদন্তে উঠে এসেছে। নাজির আলমগীরের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, আমার মক্কেল দাতাও না গ্রহিতাও না। একটা পাওয়ার অফ এটর্নির উনি মাত্র সাক্ষী। জনৈক বিজন ভৌমিক উনি পাওয়ার অফ এটর্নির গ্রহীতা। ওই সাত কোটি বা সাড়ে সাত কোটি টাকার এলিগেশন দিয়ে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দুদক যুক্ত করেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেছে বলে আমার ধারণা।
অন্যদিকে, দুদক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের স্বভাব চরিত্র ভালো নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছেন মশিউর এর নিজ জেলা শেরপুর সদর থানা পুলিশ। এসব বিষয় উল্লেখ করে নাজির আলমগীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুদকে চিঠি দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ। দুদক এবং পিবিআইর এমন সাংঘর্ষিক অভিযোগ পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী জানান আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণের সব ফায়সালা হবে।
দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, অভিযুক্ত আলমগীরের যদি কোন ডিফেন্স প্রি থাকে তাহলে তা দুদক আদালতে প্রমাণ করতে হবে। নাজির আলমগীরের বিরুদ্ধে হওয়ার দুদকের মামলাটি সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা আদালত থেকে কুমিল্লা আদালতের স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে আলমগীরের করা লিপ টু আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন