বিশেষ প্রতিবেদক:
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সুজাপুর এলাকায় মোখসুদ আলম ওরফে বিপ্লব (৩৭) নামে এক যুবলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুইকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। তাঁরা হলেন, আলী মর্তুজা ও করিমুল হক। সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ ও ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা উভয়ে উপজেলার চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা মোখসুদ আলম ওরফে বিপ্লবের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চারজনকে আসামি করে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পুলিশ এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন এলাকায় সোর্স নিয়োগসহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ একাধিক বার অভিযান চালিয়েও তাঁদের গ্রেপ্তার করাতে ব্যর্থ হয়। সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চার আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরাসহ থানা পুলিশ রাজধানীর শাহবাগ ও ফেনীর মহিপাল এলাকায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে রাজধানীর শাহবাগ থেকে আলী মর্তুজা ও মহিপাল থেকে করিমুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার প্রধান দুই আসামি রফিক ও নাজমুল পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে যুবলীগকর্মী করিমুল হকের বিরুদ্ধে থানায় চুরি-ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে দুই আসামির পাঁচদিন করে পুলিশি রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
ওসি মো. খালেদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত; গত ৮মার্চ বুধবার উপজেলার পশ্চিম সুজাপুর গ্রামের নূরুল হকের ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোখসুদ আলম ওরফে বিপ্লবকে তাঁর বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁছানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বিপ্লবের স্ত্রী আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উম্মে রুমার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ রফিক, তাঁর সহযোগী আলী মর্তুজা, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন ও মো. করিমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”