স্টাফ রিপোর্টার:
ফেনীতে জমে উঠেছে ইদ বাজার। শহরের প্রতিটি শপিংমল, বিপণী বিতান, হকার মার্কেট ও ফুটপাত গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে উচ্চ, মধ্য, নিম্নবিত্তসহ নানা শ্রেণীর মানুষ। সকল বিপণী বিতানে পসরা সাজিয়ে বসেছে বাহারী রঙয়ের পোষাক। জেলার শতকরা ৮০ ভাগ পরিবারের কর্তারা দেশের বাহিরে থাকায় ফরেন্স রেমিটেন্স খ্যাত ফেনীতে বেচাকেনার ধুম পড়েছে ।
তবে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের শোরুমের বেচাবিক্রির ধুম পড়লেও বিপাকে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজার রয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি কাপড়ের দখলে।
২০ রমজানের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শহরের শহিদ মার্কেট, গার্ডেন সিটি, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, এসি মার্কেট, গ্রীন টাওয়ার, ফেনী সেন্টার, সিরাজ মার্কেট, আলী আহম্মদ টাওয়ার, গুলশান মার্কেট, সুরত মহল ও রাজাঝির দীঘির পাড়, ভিতরের বাজারে ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাহারী ডিজাইনের পোষাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সব বিপণী বিতানগুলো আর এবার ঈদে মেয়েদের আকর্ষণীয় পোষাকের তালিকায় রয়েছে নায়রা, অরগাঞ্জা, সারারা, গারারা, লেহেঙ্গা, স্কাট ও ফ্লোরটার্চ আর ছেলেদের বিভিন্ন জিনস পেন্ট সুতির লং পাঞ্জাবী। পাশাপাশি বাজারে বুটিকসের থ্রীপিস, কাটা থ্রীপিস, ভারতীয় শাড়ি, কাতান, সিল্ক, টাঙ্গাইল শাড়ি, তাঁতের শাড়ী, জামদানি বিক্রী হচ্ছে বেশি। আর পুরুষরা জামা ও পাঞ্জাবি ম্যাচ করে জুতো সেন্ডেল কিনছেন সকলে। পাশাপাশি মেয়েরা জামার সাথে ম্যাচ করে কিনছেন গহনাসহ বিভিন্ন ব্রেন্ডের প্রসাধনী। তবে গতবারের চেয়ে এবার জামা কাপড়ের দাম কিছুটা সহনীয় বলেও জানান ক্রেতারা।
নিজাম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, যে পরিমাণ পুঁজি দিয়েছি সে পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে না বিক্রি নিয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছি।
বিভিন্ন মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, গত বছর রমজানের শুরু থেকে যে পরিমাণ বেচা-বিক্রি ছিল এ বছর ২০ রমজান পার হলেও তেমন বেচা বিক্রি নেই। এর মূল কারণ হচ্ছে- ফেনীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমের কারণেই মার্কেটগুলোর দোকানিরা বিপাকে রয়েছে। তাদের বেচাবিক্রি অনেক কমে গেছে।
ছকিনা আক্তার রুনা জানায়, পরিবারের সকল সদস্যদের কেনাকাটা শেষ হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জিনিসপত্রের দাম সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।
কোহিনুর আক্তার জানান, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ঈদের আমেজ নেই। কারণ তারা কাউকে বলতেও পারেনা। কারো থেকে কিছু নিতে পারে না। নীরবেই তাদের ঈদ কাটেবে।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পুরো শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। বিশেষ করে মার্কেট গুলোতে বখাটেদের দৌরাত্ন ঠেকাতে মাঠে রয়েছে সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক টিম। শহরের অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে। এছাড়া চুরি, ছিন্তাই রোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”