বিশেষ প্রতিনিধি
ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম শাখা) সৈয়দ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ বাদী হয়ে স্থানীয় দুদক কার্যালয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।
মো. মোস্তাফিজ বলেন, অনুসন্ধানে সৈয়দ আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি সাড়ে ১৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আব্দুল্লাহ ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে পুলিশের উপপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ও চোরাকারবারিদের সঙ্গে সখ্য, মিথ্যা মামলা রেকর্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ২০২০ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় উদ্বোধনের পর পিরোজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন। যেগুলো ব্যবহার করে তিনি এক কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখা এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কিনেছেন। ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পরিশোধ করে তার মা কারিমা খাতুনের নামে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিরা অবৈধভাবে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার পদমর্যাদার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা নিজের নামে, স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে করেছেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”