বিশেষ প্রতিনিধি
ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১২ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে ফেনী প্রেসক্লাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকরা।
এ ছাড়া ফেনীতে কর্মরত ১১ সাংবাদিকের ওপর হামলা ও প্রেসক্লাব ভাঙচুরের প্রতিবাদে বুধবার (১৯ জুলাই) প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলায় কর্মরত সাংবাদিকের ব্যানারে প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে।
প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহজালাল রতনের সভাপতিত্বে সাপ্তাহিক স্বদেশ পত্রের সম্পাদক নুর নবী জীবনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক ডিবিসি টিভির ফেনী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, সময় টিভির সহযোগী সিনিয়র রিপোর্টার আতিয়ার সজল, যমুনা টিভির আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, প্রেসক্লাবের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ন্যক্কারজনক। প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জন্য তীর্থভূমি, এখানে থেকেও সাংবাদিকরা নিরাপদে না থাকলে আর কোথায় নিরাপদ থাকবে।
এ ছাড়া বলা হয়, ফেনীতে পুলিশ-বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্বে পালনকালে ১১ সাংবাদিক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন ডিবিসি টিভির ফেনী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, মোহনা টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, দৈনিক মানবজমিনের ফেনী প্রতিনিধি নজমুল হক শামীম, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট মীর হোসেন রাসেল, ডিবিসি টিভির ক্যামেরাপারসন দুলাল তালুকদার, দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক মুস্তাফিজ মুরাদ, সাপ্তাহিক ফেনীর তালাশের প্রতিবেদক এমএ আকাশ, বাংলাভিশন টিভির ক্যামেরাপারসন মামুন মিরাজুল, এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন ও দৈনিক ফেনীর চিত্রগ্রাহক মোজাম্মেল হক লিংকন, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের ক্যামেরাপারসন কামরুল ইসলাম।
সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। এতে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাবে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রেসক্লাবের দরজা-জানালার কাচ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের ভূঁইয়া বলেন, সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে মাঠে কাজ করতে যায়। গণমাধ্যমের কর্মী এবং প্রেসক্লাবের ওপর হামলা মেনে নেয়া যায় না, এটি মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর আঘাত। আমরা এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই৷
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনী সময় সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কথা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জনগণের সামনে আসে। সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের ওপর হামলার ঘটনাটি অপরাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসে। অবশ্যই এদের বিচার হতে হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন