বিশেষ প্রতিনিধি
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ সমিতির বাজার এলাকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে স্থানীয় যুবলীগের ১২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ৪ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
মামলার বাদী হয়েছেন আহত পুলিশ কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন (৪৫)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার অধীন ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের সমিতির বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালন ও তল্লাশী কালে স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগের নেতাকর্মীর সাথে ওই পুলিশের উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সাথে বাকবিতন্ডা ও এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা ও মারধর করেন। ঘটনাটি জানার পর ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশের ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সমিতির বাজার এলাকার কর্তব্যরত ছিলেন। এ সময় ওই সড়কে চট্টগ্রামের বারইয়ার হাট এলাকার দুই তরুনকে পুলিশের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত পারভেজসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী ওই দুই তরুণকে তাদের মেহমান হিসেবে পরিচয় দেন এবং কেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে তারা ক্ষিপ্ত হয়। এনিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তারা পুলিশ কর্মকর্তা জাকিরের ওপর চড়াও হয় এবং জাকির হোসেনকে কপালে কিল ঘুসি মারেন। হামলাকারীদের নেতা হলেন- স্থানীয় ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে পারভেজ (৩২) । অন্যরা তার সহযোগী ছিলেন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজীওমর ফারুক জানান, তিনি উপজেলার ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের একজন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা ও তাকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত পারভেজ স্থানীয়ভাবে যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত বা যুবলীগের কর্মী দাবী করলেও মূলত স্থানীয় ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটির কোন পদেও নেই। তারা যুবলীগের সদস্যও নয়। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পুলিশ এসল্ট ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবী করেন।
এ দিকে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, যুবলীগের নামধারী পারভেজ ও রফিক স্থানীয় ভাবে নদীর বালু ও মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি। তিনি জানান, পারভেজসহ সবাই পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপর দিকে আসামি পারভেজকে গ্রেপ্তার অভিযানে।গিয়ে তাদের ঘর থেকে ৮০ পিস ভারতীয় চোরাচালানের শাড়ী করে পুলিশ। এসময় ঘর থেকে তার বাবা আবু তাহেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় চোরাচালানের অভিযোগে আবু তাহের এর নামে বিশেয ক্ষমতা আইনে অপর একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আবু তাহেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফেনী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”
- » ফরহাদনগরে ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিনের ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পথে ঘুরছে বৃদ্ধা দুই অসহায় বোন