বিশেষ প্রতিনিধি :
গত ৫ এপ্রিলের কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলা বৃষ্টির ফলে সোনাগাজী উপজেলায় সবজি, ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙ্গে অন্তত ২৫ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের আলাদা আলাদা জরিপে এ ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবারের আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারনে উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও সোগাজী পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় ঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আট শত ৬৬টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক হাজার একশত দুটি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সোনাগাজী পৌর এলাকায় ১০০টি, চর মজলিশপুর ইউনিয়নে ১৭০টি বগাদানা ইউনিয়নে ২৫৭টি মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে ৬০টি, মতিগঞ্জ ইউনিয়নে ৪৩৪টি, চর দরবেশ ইউনিয়নে ১১৭টি, চর চান্দিয়া ইউনিয়নে ৫৫টি, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নে ৭০০টি, আমিরাবাদ ইউনিয়নে ৫৫টি, নবাবপুর ইউনিয়নে ২০টি কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বুধবারের কাল বৈশাখীর ঝড়ে কৃষি খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রবি শস্য চাষীরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ঝড় ও শিলা বৃষ্টির প্রভাবে সোনাগাজীতে এক হাজার চারশত ৩৫ জন কৃষকের তিন শত ১৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
এতে প্রায় এক কোটি ছয় লাখ আশি হাজার পাঁচ শত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় মাঠে থাকা ৭৫ হেক্টর মরিচ, ৫০ হেক্টর শাকসবজি, ১০ হেক্টর আখ, ৮০ হেক্টর ফেলন ডাল, ৫০ হেক্টর মুগ ডাল, ৫০ হেক্টর বাদাম ফসলের ক্ষতি হয়। এ সবের মধ্যে ৬৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ও ২৫০ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তবে ধান চাষেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ফসলি জমি পরিদর্শন করে কৃষক ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের (ব্লক সুপারভাইজার) সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা হয়। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে সহযোগীতার জন্য তথ্য বিবরনী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঝড়ের পর তাৎক্ষনিক ভাবে সহায় সম্বলহীন ১৮৫ পরিবারের সদস্যদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু চাউল, চিড়া ও মুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”