বিশেষ প্রতিনিধি
স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু খুনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী জেলা কারাগারে আনা হয়েছে। বুধবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফেনী কারাগারের জেল সুপার মো: ইকবাল হোসেন ।
.
মো: ইকবাল হোসেন জানান, বুধবার রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে প্রৌছান । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু খুনের মামলায় ২০২১ সালের ১২ মে আলোচিত বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তৃতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে বাবুলের বিরুদ্ধে স্ত্রী খুনের মামলা বিচারাধীন। এটির সাক্ষ্য চলছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তার জড়িত, এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
গত ১২ মে দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোশাররফ হোসেনের মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৭ মে বাবুল আক্তারকে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে হাজির করা হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় বসে থেকেও শেষপর্যন্ত জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি বাবুল আক্তার। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সর্ম্পকের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়।
বাবুল ছাড়াও অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য ছয় আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। অভিযোগপত্রভুক্ত সাত আসামির মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক।
এর আগে গত ২৯ মে ২০২১ সালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে থেকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”