নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনগণের জান-মাল রক্ষা, সাম্প্রদায়িকসম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার (সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক মত- বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মত-বিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু এদেশে নেই। আমরা সবাই এক। সকলে মিলেই এদেশ স্বাধীন করেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখেছি, মন্দির পাহারায় কাজ করছে মুসলমানরা। এটিই হচ্ছে এদেশের প্রকৃত চিত্র। সকলেই সকলের জন্য।
এসময় তিনি শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সেনাবাহিনীর টহল বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্নেল মীর কামরুল হাসান বলেন, মন্দিরে নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন বলেন, ফেনীতে মন্দিরের তালিকা, হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামের তালিকা সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা নিয়েছেন। তাই ফেনীতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। আশা করি অপ্রীতিকর কিছু ঘটবে না।
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাইমিন তাজিম বলেন, ৫ আগস্ট অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। সড়কে শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তাসহ যেকোন নাগরিকসেবায় আমরা কাজ করেছি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গরূপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করা জরুরি। তবে তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়।
কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডারকে অনুরোধ করে তাজিম বলেন, ফেনীতে যারা রক্তপাত ঘটিয়েছে তাদের ধরতে হবে। এই এলাকায় প্রচুর অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। কারণ, সেসব অস্ত্র ব্যবহার করে দিনের পর দিন মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করতে হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ শুরু করেছে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশ কাজ শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।
বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কাজটি দ্রুততম সময়ে করার গুরুত্ব প্রসঙ্গে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী পৌরসভা পুনরায় সেবা প্রদানে কাজ শুরু করেছে।
সভায় সেনাবাহিনীর একাধিক কর্মকর্তাসহ ঐক্য পরিষদের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদলসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ছিলেন। সভা শেষে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ফেনী সদর মডেল থানা পরিদর্শন করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”