বিশেষ প্রতিনিধি,
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে, তবে বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে সতর্ক আছে। সরকারিভাবে সবগুলো বিষয় এডজাস্ট করা হচ্ছে , আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমাধান হবে।
.
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধকরা হয়নি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানের জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালের ফেনীর ছাগলনাইয়ার আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিস্থিতির সংকট করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে আজকে কয়েকজন উপদেষ্টা সেখানে যাচ্ছেন। অভ্যন্তরীণভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। দেশ সংকটকালীন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। নানাভাবে পরিস্থিতির সংকট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুনর্বাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে যেহেতু প্রতিবছর বন্যা হয় সেজন্য স্থায়ী একটি সমাধান প্রয়োজন। ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাঁধগুলো কিভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখন আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রমে জোর দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে গৃহনির্মাণে সবার চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি যাদের শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে তা দ্রুত সরবরাহ করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের এভাবে বাঁধ খুলে দেওয়া উচিত হয়নি। যদিও তারা বিষয়টি স্বীকার করেনি। এ বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন, কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য ভারতের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
এর আগে আন্ধারমানিক এলাকা ঘুরে ঘুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
পরে উপদেষ্টা ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর, জগতপুরের বন্যা দুর্গত এলাকা ও নদী ভাংগন স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ফেনীর বন্যা ত্রাণ কার্যক্রম সন্তোষজনকভাবে হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চলমান আছে। আসা করছি সবাই ঘর পাবে, কেউ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, বন্যাটি মূলত ভারতের উজানের পানিতে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি ভারত যা করেছে তা ঠিক হয়নি। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ফুলগাজীর আনন্দপুরের শ্রাবনের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”









