অজেয় বাংলা রিপোর্ট :
দাগনভূঞা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সরকারি সেই ৬০ শতক ভূমিতে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ এর স্থান পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি এ পরিদর্শনে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-দাগনভ’ঞা উপজেলা নির্বাহী কম্র্কর্তা মো.সাইফুল ইসলাম ভূঞা, দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ও দাগনভ’ঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক খান, দৈনিক অজেয় বাংলা সম্পাদক,বিটিভির জেলা প্রতিনিধি ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ, দাগনভ’ঞা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মাসুদ, সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাশেম, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো.ওবায়দুল হক, কমিটির সদস্য ও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন বেলাল,হাজী মো.আলমগীর, সিরাজ উল্যাহ, যুবনেতা মো.ওমর ফারুক কামরুল,আজিজুল হক রাসেলসহ মসজিদ কমিটির কম্র্কর্তা ও বাজারের ব্যবসার্য়ীগণ।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী সদর জয়েন্ট সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে ১৯৩৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রকৃত একটি ভুয়া দলিল দেখিয়ে স্থানীয় একটি চক্র ২০১৩ সালের দিকে দাগনভ’ঞা মৌজার ১৮২ দাগে অবস্থিত সরকারি ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে হঠাৎ দৃশ্যপটে হাজির হন। এ নিয়ে তখন দৈনিক অজেয় বাংলায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সর্বস্তরে তোলপাড় শুরু হয়। উঠে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। জনরোষের ভয়ে ওই চক্রটি পিছু হটে গিয়ে এতদিন গোপনে তৎপরতা চালালেও প্রকাশ্যে আসেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ওই চক্রটি সরকারি ওই জায়গা দখলে নিতে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলে তদবিরের পাশাপাশি প্রকাশ্যে তৎপরতা শুরু করেন। এতে করে মূল্যবান ওই সরকারি ভ’মি বেদখল হওয়ার এবং ওই জায়গায় সরকারের ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ নির্মাণের মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মসজিদের মুসল্লি ও বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক অজেয় বাংলা ‘দাগনভ’ঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন সরকারি সেই সম্পত্তি আত্মসাতে মামলা-সরকার পক্ষে লড়ছেন জিপি,বাদী পক্ষে জিপির ছেলে,সরকারি ওই ভ’মি বেদখল হওয়ার শঙ্কা’ এই শিরোনামে আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোববার ( ১ অক্টোবর ) দুপুরে দাগনভূঞার ওই সরকারি ভূমি এবং ওই জায়গায় সরকারের ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়।
উল্লেখ্য, ওই জায়গায় সরকারের গৃহীত দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ তৈরির প্রস্তাবনা দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়, বাজারের মূল কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ওই সরকারি জায়গাটি ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ তৈরির জন্য খুব চমৎকার উপযোগী স্থান। এছাড়া ওই জায়গাটি সরকারি খাস সম্পত্তি হওয়ায় মডেল মসজিদের জন্য জায়গা অধিগ্রহণেরও প্রয়োজন পড়বে না।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”