: আলোচনায় বর্তমান প্রশাসক আজিজ আহম্মদ চৌধুরী :

বিশেষ প্রতিনিধি :
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন আটজন। এরমধ্যে রয়েছেন- জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আক্রামুজ্জামান, খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, ফেনী জজকোর্টের সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমদ, জিপি অ্যাডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল হক আরজু ও ওরিয়ন অ্যাডভার্টাইজিংয়ের স্বত্তাধিকারী এম এ রব।
চুড়ান্ত বিবেচনায় কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন তা জানা যাবে ২৪ ডিসেম্বর। তবে সব প্রার্থীকে চাপিয়ে আলোচনায় একজন। যাঁর রয়েছে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ঐতিহ্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁর পরিবারের বহু সদস্যের জীবনদানের রয়েছে রক্তাক্ত গৌরবগাঁথা। দুঃসময়ে যিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঝান্ডাকে শক্ত হাতে আগলে রেখেছেন। বিপদে-আপদে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্য ও সহযোগিতার হাত। একজন সৎ, নীতিবান ও সজ্জন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসেবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে যাঁর রয়েছে আকাশছোঁয়া গ্রহণযোগ্যতা। ফেনীর রাজনীতিতে যিনি ‘ক্লিনম্যান’ হিসেবেও সমধিক পরিচিত। তিনি ফেনী জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী।
ওয়ান ইলেভেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলার উন্নয়নের চালিকাশক্তি জেলা পরিষদকে সচল করার উদ্যোগ নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৬১টি জেলায় দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান।
২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর ফেনী জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজ আহম্মদ চৌধুরী। তাঁর প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর জেলা পরিষদে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে জেলার সর্বস্তরের মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলা পরিষদ। কাটিয়ে ওঠে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রয়াস থেকে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিলেন তা যেন সার্থকতা পায়। জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর বিগত পাঁচ বছর প্রানান্তকর চেষ্টা ছিল- জেলা পরিষদকে একটি জনমুখি ও সেবামুখি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সফল বাস্তবায়ন এবং তার সুফল তৃণমূলে পৌঁছে দিতে তিনি নিরন্তর ছুটে চলেছেন মানুষের দোরগোড়ায়। নির্লোভ, নির্মোহ ও নিরহংকারী এই মানুষটিকে আবারও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতা।
এদিকে জেলা পরিষদের ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে গত রোববার ও সোমবার আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় কার্যালয়ে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। সাধারণ ১৫টি ওয়ার্ডে ৮২জন ও সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে ১০ জন।
যেসব এলাকা নিয়ে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে তা হলো- পরশুরাম উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ ও পরশুরাম পৌরসভা নিয়ে ১নং ওয়ার্ড।
ফুলগাজী উপজেলাধীন ফুলগাজী সদর, মুন্সিরহাট ও দরবারপুর ইউনিয়ন নিয়ে ২নং ওয়ার্ড। ফুলগাজী উপজেলাধীন আনন্দপুর, জিএমহাট ও আজমাদহাট ইউনিয়ন নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড। উল্লেখিত তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের ১নং ওয়ার্ড।
ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ছাগলনাইয়া পৌরসভা, মহামায়া ও পাঠাননগর ইউনিয়ন নিয়ে ৪নং ওয়ার্ড। ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন রাধানগর, শুভপুর ও ঘোপাল ইউনিয়ন নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড। ফেনী সদর উপজেলার মোটবী, ছনুয়া, ফাজিলপুর ও ফরহাদনগর ইউনিয়ন নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড। উল্লেখিত তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের ২নং ওয়ার্ড।
ফেনী সদর উপজেলাধীন ধর্মপুর, শর্শদি ও পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ৭নং ওয়ার্ড।  ফেনী সদর উপজেলাধীন কাজিরবাগ, কালিদহ ও  ফেনী পৌরসভা নিয়ে ৮নং ওয়ার্ড। ফেনী সদর উপজেলাধীন বালিগাঁও, ধলিয়া ও লেমুয়া ইউনিয়ন নিয়ে ৯নং ওয়ার্ড। উল্লেখিত তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের ৩নং ওয়ার্ড।
দাগনভূঞা উপজেলাধীন রাজাপুর, পূর্বচন্দ্রপুর ও সিন্দুরপুর ইউনিয়ন নিয়ে ১০নং ওয়ার্ড। দাগনভূঞা উপজেলাধীন দাগনভূঞা পৌরসভা, জায়লস্কর ও মাতুভূঞা ইউনিয়ন নিয়ে ১১নং ওয়ার্ড। দাগনভূঞা উপজেলার এয়াকুবপুর, রামনগর ও দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন নিয়ে ১২নং ওয়ার্ড। উল্লেখিত তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের ৪নং ওয়ার্ড।
সোনাগাজী উপজেলাধীন চরমজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি ও চরদরবেশ ইউনিয়ন নিয়ে ১৩নং ওয়ার্ড। সোনাগাজী উপজেলাধীন নবাবপুর, আমিরাবাদ ও মতিগঞ্জ ইউনিয়ন নিয়ে ১৪নং ওয়ার্ড। সোনাগাজী উপজেলাধীন সোনাগাজী পৌরসভা, সোনাগাজী ইউনিয়ন ও চরচান্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ১৫নং ওয়ার্ড। উল্লেখিত তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠন করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের ৫নং ওয়ার্ড।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে আওয়ামী লীগে তোড়জোড় চললেও অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের এ নিয়ে নেই কোনো আগ্রহ। ইতোমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেন। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদও এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানান। যে কারণে জেলা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এ নিয়ে কোনো তৎপরতা নেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

• »   বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
• »   ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
• »   আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
• »   গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন 
• »   ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
• »   জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
• »   ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
• »   ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
• »   ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
• »   ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”